শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফেব্রুয়ারি মাসের তিন উৎসবকে সামনে রেখে গাইবান্ধার ফুলবাজার জমে উঠেছে। সারাবছর কমবেশি ফুল বেচাকেনা হলেও মূলত বসন্তবরণ উৎসব, ভ্যালেন্টাইনস ডে আর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখেই জমজমাট হয়ে ওঠে এ ফুলের বাজার।
গাইবান্ধা ফুল ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নয়ন কুমার সরকার বলেন, বসন্তবরণ উৎসব, ভালবাসা দিবস আর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখে বেচাকেনা বেড়ে যায়। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় এ বছর উৎপাদন ভালো হয়েছে। ফলে কেবল এ তিন উৎসবেই জেলা শহরের ১৫টি ফুলের দোকানে বেচাকেনা প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছি। তবে এ বছর বাগান থেকে বেশি দামে ফুল কিনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ভালবাসা দিবসে রঙিন গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রজনীগন্ধা ও গোলাপ বেশি বিক্রি হয়। আর গাঁদা ফুল বেশি বিক্রি হয় একুশে ফেব্রুয়ারি ও বসন্ত উৎসবে।
সোমবার গাইবান্ধার ডিবি রোডে ফুলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা ফুল বিক্রির পাশাপাশি ফুলের ঝুড়ি, তোড়া, কাগজের কার্টন, বাঁশের খাঁচা, মালা, ক্রাউন তৈরিতে ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব ফুলের দোকানে কয়েক জাতের গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, রজনীগন্ধা, জারবেরা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, গ্লাডিওলাস, অর্কিড, কসমস, ঝুমকা লতা বিক্রি হচ্ছে।
কনা ফুল ঘরের স্বত্বাধিকারী জহুরুল ইসলাম বলেন, বসন্তবরণ উৎসব ও ভ্যালেনটাইনস ডে উপলক্ষে বাগানগুলোতে পাইকারি ফুলের দাম বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা বাড়তি। গাইবান্ধার পাইকারি বাজারে প্রতি পিস সাদা, গোলাপি, হলুদ গোলাপ মানভেদে ১২ থেকে ১৬ টাকা, বাসন্তি, হলুদ ও মেরি গাঁদা প্রতি বাল্লি (১০০ পিস) মানভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা প্রতি পিস ৮ থেকে ১০ টাকা, গোলাপি, হলুদ, সাদা, নীল রঙের গ্লাডিওলাস প্রতি পিস ১৪ থেকে ১৬ টাকা, জারবেরা প্রতি পিস ২০ টাকা এবং রজনীগন্ধা প্রতি পিস ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি পিস গোলাপ মানভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মানভেদে গাঁদা প্রতি মালা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ও কেলেনডোলা প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকা, গ্লাডিওলাস প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা, জারবেরা প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, জিপসি পরিমাণ অনুযায়ী ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জুঁই-বেলী মালা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গাইবান্ধার ফুল বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, করোনা মহামারির কারণে দেশের সব খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতি হয়েছে, ফুল ব্যবসায়ী ও কৃষকের। করোনায় ক্ষতি হলেও সরকারি কোনো সহায়তা এ খাত পায়নি। অনেক ক্রেতা মনে করেন খুচরা বাজারে দাম বেশি। ফুল কাঁচামাল। পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের মিল পাওয়া যায় না। তবে দিবস কেন্দ্রীক ফুলের দাম কিছুটা বেড়েছে।